রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ অপরাহ্ন
মুন্না শরীফ- মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
গত ১১ই মে ২০২২ইং বুধবার মাদারীপুর জেলার কালকিনি পৌরসভার ৩নং কমিশনার আনোয়ারার হোসেন বেপারী ধান মাড়াই মেশিনে ধান মাড়াই না করায় ওয়ার্ডের নয়াকান্দি এলাকায় বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ঝন্টু চন্দ্র মন্ডল তার ছেলে উজ্জ্বল চন্দ্র মন্ডল, তার স্ত্রী পূর্ণিমা রাণী মন্ডল এবং শিশু কন্যাকে মারধর করে মাড়াই করার জন্য উঠানে জড়ো করে রাখা ধান লুট করে নিয়ে যাওয়ায় বাধ দিলে বেদম প্রহর করে উজ্জ্বল চন্দ্র মন্ডলকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয় আনোয়ার কমিশনারের ছেলেসহ কয়েকজন সহযোগী মারধর করে চলে যাওয়ার উজ্জ্বল চন্দ্র মন্ডল পুলিশি সহযোগিতা চাইলে কালকিনি থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করতে চাইলে পুলিশের উপস্থিতি দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে আনোয়ার কমিশনারের নেতৃত্বে তার স্ত্রী রিক্তা, তার ছেলে রিয়াজ ও সঙ্গীয় কয়েকজন পুনরায় ঝন্টু চন্দ্র মন্ডল ও তার পরিবারের উপর চড়াও হয় তেড়ে আসলে বাড়ীর নারী শিশুর আর্ত চিৎকার শুনে পথিমধ্যে এশিয়ান টেলিভিশন মাদারীপুর টিম ও আরো কয়েকটি মিডিয়ার সাংবাদিক ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় থমকে দাড়িয়ে ঘটনার দৃশ্য ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয় আনোয়ার কমিশনারের স্ত্রী রিক্তা ও আনোয়ার কমিশনার।
এরই মধ্যে আনোয়ার কমিশনারের সাঙ্গ পাঙ্গরা এসে সংখ্যালঘু পরিবারের উপর চড়াও হয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকের সামনেই ঝন্টু চন্দ্র মন্ডলের উপর ঝাপিয়ে পড়ে কিল ঘুষি, লাথি, চড়থাপ্পর মারতে থাকে পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে আনোয়ার কমিশনারকে আটক করে হ্যান্তকাফ পরাতে গেলে আনোয়ার কমিশনারের স্ত্রী ও আরো কয়েকজন তাকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পরে।http://www.dw.com/bn/সংখ্যালঘু-নির্যাতন
আহত অবস্থায় ঝন্টু ও তার ছেলে উজ্জ্বলকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে উজ্জ্বলের মাথায় আঘাত বেশী থাকায় উজ্জ্বলকে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আহত ঝন্টুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আনোয়ার কমিশনার ও তার দলবলের আক্রমণের ভয়ে সংখ্যালঘু পরিবারটি আতংকে আছেন, ফের আক্রমণের ভয়ে নির্যাতিত পরিবারের সদস্য পূর্ণিমা রাণী মন্ডল ভীতিকর অবস্থায় কান্না জড়িত কন্ঠে এশিয়ান টেলিভিশনে বলেন- এই দেশে আর থাকবোনা, সব কিছু বিক্রি করে দেশ ছেড়ে চলে যাবো, এসময় তার কাধের উপরে ভর করে ভীতিকর অবস্থায় তার একটি শিশু কন্যা সন্তানও কাদছিলেন।
এই বিষয়ে আহত উজ্জ্বল চন্দ্র মন্ডল জানান- আনোয়ার কমিশনারের প্রকাশ্য মদদে এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি আত্মসাৎ করে পাহাড়সম সম্পদের মালিক হয়েছেন আনোয়ার কমিশনার, টিসিবির পন্য নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়ার প্রতিবাদ কারায় এবং তার নিজের ধান মাড়াই কলে ধান মাড়াই না করে অন্যের কলে ধান মাড়াই করায় আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা ও নির্যাতন করে। এদিকে ঝন্টু চন্দ্র মন্ডল সাংবাদিকদের কাছে একই অভিযোগ করেন।
এদিকে আনোয়ার কমিশনার ও তা স্ত্রীকে খুজে বের করে ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তারা সংখ্যালঘু পরিবারের প্রতি পাল্টা অভিযোগ করেন।https://www.nationaldahelpline.org.uk/bn/What-is-abuse
এই বিষয় কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ ইসতিয়াক আশফাক রাসেল কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন- সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক, উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে তিনি ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে রাজি হননি।